দুনিয়াতে অনেক মানুষ আছে যারা আল্লাহর হুকুম আহকাম পালনের ক্ষেত্রে অলসতা বা দেরি করে বা তা করার সময় হয়নি কিংবা পরে করবে বলে রেখে দেয়। এ সব বিষয়ে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর উম্মতকে সতর্ক করেছেন।
আল্লাহ তাআলা ইবাদত-বন্দেগি ও তার বিধি-বিধান পালনে আগ্রহী ও অলসতাকারীদের জন্য সুসংবাদ ও কঠোরতা প্রকাশ করেছেন। হাদিসে কুদসিতে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে এমন একটি ঘোষণাই এসেছে।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, আল্লাহ তাআলা বলেছেন-
‘হে আদম সন্তান! আমার ইবাদতের জন্য তুমি নিজের অবসর সময় তৈরি কর ও ইবাদতে মন দাও; তাহলে আমি তোমার অন্তরকে প্রাচুর্য দিয়ে ভরে দেব এবং তোমার দারিদ্র্য ঘুচিয়ে দেব।
আর যদি তা না কর; তবে-
তোমার হাতকে ব্যস্ততায় ভরে দেব এবং তোমার অভাব কখনোই দূর হবে না।’ (তিরমিজি, ইবনে মাজাহ)
উল্লেখিত হাদিসের ঘোষণা অনুযায়ী যারা ইবাদত-বন্দেগিসহ যাবতীয় বিধি-বিধান পালনে নিজেকে তৈরি করবে; তাদের অন্তরকে আল্লাহ তাআলঅ প্রাচুর্য দিয়ে ভরে দেবেন এবং তাদের অভাব-অনটন দূর করে দিবেন।
পক্ষান্তরে যারা নামাজ, রোজা, হজ, যাকাতসহ যাবতীয় ইবাদত-বন্দেগিসহ আল্লাহর বিধি-বিধান পালনে ব্যস্ততা দেখাবে; বা সময় হয় না বলে ইবাদত-বন্দেগিতে নিজেদেরকে পিছিয়ে রাখবে; তাদেরকে আল্লাহ তাআলা সব সময়ই ব্যস্ততায় রাখবেন এবং কখনোই তাদের অভাব দূর হবে না।
সুতরাং ইবাদত-বন্দেগিতে ব্যস্ততা বা তাড়াহুড়ো বা অলসেমি নয় বরং সময় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নির্দেষিত ও নির্ধাররিত ইবাদত যথাযথ পালন করে দুনিয়ার স্বচ্ছলতা ও স্বচ্ছন্দ্যপূর্ণ জীবন লাভের পাশাপাশি পরকালের সফলতা লাভ করা জরুরি।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে দুনিয়ার জীবনে ইবাদত-বন্দেগি ও বিধি-বিধান পালনের মাধ্যমে স্বাচ্ছন্দ্য ও স্বচ্ছলতা লাভ করার তাওফিক দান করুন। অবহেলা আলসেমি থেকে নিজেকে বিরত রেখে দুনিয়ার অভাব ও ব্যস্ততা থেকে হেফাজত করুন।